Saturday, October 8, 2016

কেক

football

ট্রেডিশনাল চিজ কেক

ট্রেডিশনাল চিজ কেক
উপকরণঃ ডিম ৪টি, ময়দা ১ কাপ, চীজ গ্রেট আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, বাটার ১ কাপ, কেক ইম্প্রুভার ১ চা চামচ, ভ্যানিলা পাউডার ১ চা চামচ, লেমন্ড রাইন্ড ১ চা চামচ।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদীঃ এ্যাবিটর/ ওভেন/ মিশিং/ বোল/ স্প্যাচুলা/ প্লেট/ নাইফ/ মেজারিং কাপ/ মেজারিং স্পুন/ কেক ডাইস/ নজেল/ এগসেপারেটর/ কেক কাটার/ লেভেলার/ আইসিংকম্ব/ টান টেবিল/ গ্রেটার/ ব্রাশ।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ বাটার ও চিনি বিট করুন। একটা একটা করে ডিম দিন এবং আস্তে আস্তে বিট করুন। ময়দা কেক ইম্প্রুভার ভেনিলা পাউডার দিন, ১০ মিনিট বিট করার পর স্প্যাচুলা দিয়ে আলতো করে ময়দা মিশিয়ে নিন। এবার গ্রেটেড চীজ মিক্স করুন। পাত্রে অয়েল পেপার সেট করে মিক্স জে ঢালুন। ইলেকট্রিক ওভেনে ১৬০ সেন্টিগ্রেট ৩০ থেকে ৮০ মিনিট দ্বিতীয় ব্যাকে বেক করুন। ঠান্ডা হলে সুগার সিরাপ ও লেমন্ড বাইন্ড মিশিয়ে ব্রাশ করে পরিবেশন করুন।


বল কেক


বল কেক
স্পঞ্জ উপকরণ: ডিম ১০টা, আইসিং সুগার ১ কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা চামচ, বাটার অয়েল গলানো ২ টেবিল চামচ, ময়দা ১ কাপ, গুঁড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার ২ চা চামচ।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ (ময়দা, দুধ ও বেকিং পাউডার) একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। বোলে ডিমের সাদা অংশ খুব করে বিট করে ফোম তুলে চিনি দিয়ে ডিমের হলুদ অংশ দিয়ে আবার বিট করে নিতে হবে। এতে হালকা হাতে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে নিতে হবে। পরে এসেন্স ও বাটার অয়েল মিলিয়ে গ্রিজড করা বেকিং ডিশে ঢেলে প্রিহিটেড ওভেনে বেক করতে হবে মাঝারি আঁচে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট।
এই স্পঞ্জের ডো ২ ভাগ করে এক ভাগ আট ইঞ্চি গোল ছাঁচে ঢেলে নিতে হবে। মাঠের শেপের জন্য বাকি অর্ধেক বলের ছাঁচে আধা আধা করে ঢেকে বেক করতে হবে। বেক করার পর ঠান্ডা করে ক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।
সিরাপের জন্য: পানি ১ কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ। সব একসঙ্গে জ্বাল করে সিরাপ বানাতে হবে। এই সিরাপ গরম স্পঞ্জে ব্রাশ করতে হবে।
সফটক্রিম: মাখন ৪০০ গ্রাম, আইসসুগার ২০০ গ্রাম (চেলে নিতে হবে)। আইসকিউব ৪-৫টা।
ভ্যানিল এসেন্স ১ চা চামচ। মাখন ও চিনি একসঙ্গে খুব করে ফেটে নিতে হবে বরফ গলা পর্যন্ত। পরে বিটার দিয়ে বিট করতে হবে ৩০ মিনিট। ৫ মিনিট বিট করে ৫ মিনিট বিটার বন্ধ রাখতে হবে। সবশেষে এসেন্স দিয়ে বিট করতে হবে। এখন প্রয়োজনমতো রং মিলিয়ে আইসিং তৈরি করতে হবে। বল কেকের জন্য আট ইঞ্চি গোল স্পঞ্জ ২ ভাগে সমান করে কেটে নিন। এরপর সিরাপ ব্রাশ করে ক্রিমের স্তর দিয়ে ওপরে অন্য টুকরা রাখুন। এরপর সাদা ক্রিম দিয়ে কেকটা ঢেকে দিন। মাঝখানে বলের প্রথম অর্ধেক নিয়ে সিরাপ ব্রাশ করে ক্রিম দিয়ে বাকি অর্ধেক বসিয়ে সাসলিকের তিনটি কাঠি দিয়ে মাঠের আকৃতির সঙ্গে গেঁথে দিন, যেন বল না নড়ে। এরপর বলের আইসিং করে পরিবেশন করুন। মাঠের জন্য সবুজ রঙের চিনি ব্যবহার করা হয়েছে।

প্যান কেক

প্যান কেক
উপকরণ: ডিম ২টি, ময়দা ১ কাপ, চিনি আধাকাপ, বেকিং পাউডার সামান্য, এলাচ গুঁড়া সামান্য, দুধ আধাকাপ তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: ডিম ও চিনি ভালো করে ফেটে নিতে হবে। তারপর ময়দা, বেকিং পাউডার, এলাচ গুঁড়া ও দুধ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মিশ্রণ বেশি পাতলা বা ঘন কোনোটা যেন না হয়। ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে ১ হাতা করে মিশ্রণ দিয়ে ১ মিনিট ঢেকে দিতে হবে। প্যান কেক একটু উল্টে দিয়ে টিফিনের জন্য পরিবেশন করা যায়।

চকলেট স্পঞ্জ কেক

চকলেট স্পঞ্জ কেক
উপকরণঃ ডিম ৪টি, কোকো ১ টেবিল চামচ, চকলেট কালার সিকি চামচ, কেক ইম্প্রুভার ১ চা চামচ, চকলেট সিরাপ ১ টেবিল চামচ, ময়দা আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, ব্ল্যাক সিরাপ ৬ টেবিল চামচ, চকলেট ক্রিম ২ কাপ, ওয়েফার ৪/৫টি, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ ডিমের কুসুম সাদা অংশ আলাদা করুন। সাদা অংশে মেরাং তৈরি করুন এগবিটারের সাহায্যে। ময়দা, কোকো, চকলেট কালার, বেকিং পাউডার একসাথে ঢেলে নিন। ডিমের সাদা অংশের মেরাং এর সাথে চিনি মিক্স করে ১০ মিনিট বিট করে নিন। এবার একটা পেস্ট এর মত মনে হবে। এই পেস্ট এর সাথে বাকী উপকরণ গুলো মিশিয়ে স্প্যাচুলার সাহায্যে আলতো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিক্সিং পেস্ট কেক ডাইসে সেট করে বেক করুন। ১৬০ সেন্টিগ্রেটে ৩০ মিনিট বেক করুন। কেক ওভেন থেকে বের করে ওয়েভার চকলেট ক্রিম চকলেট সিরাপ দিয়ে ডেকোরেশন করুন।

বাস্কেট কেক

বাস্কেট কেক
উপকরণ : ডিম ৪টি, চিনি ১/২ কাপ, ময়দা ১/২ কাপ, ভ্যানিলা লিকুইড ১ চা চামচ, বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ, কেক ইম্প্রুভার ১ চা চামচ, ভ্যানিলা পাউডার ১ চা চামচ।
সুগার সিরাপ : কেক মাঝখানে কেটে ভিতরে সুগার সিরাপ দিয়ে ক্রীম বসাতে হবে। বেড়া ডেকোরেশন হবে সাইডে চকলেট ও ভ্যানিলা ক্রীম দিয়ে।
যেভাবে তৈরি করবেন : ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম আলাদা করুন। সাদা অংশের মেরাং তৈরি করে চিনি, ভ্যানিলা মেশান। ১০ মিনিট বিট করুন। ময়দা গুড়া দুধ, বেকিং পাউডার, আলতো হাতে মেশান। ওভেনে ১৬০ ডিগ্রিতে নীচে ৩০ মিনিট বেক করুন। গোলাপ ফুল দিয়ে বাস্কেট কেক ডেকোরেশন করুন।

বাটার কুকিজ

বাটার কুকিজ
উপকরণ: ময়দা পৌনে ২ কাপ, গুঁড়ো দুধ পৌনে ১ কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, ওট ১ কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, সফট মাখন ১৭৫ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক সিকি কাপ।
প্রণালি: ময়দা, গুঁড়ো দুধ ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। বোলে মাখন ও চিনি বিট করতে হবে। হালকা ও ফাঁপিয়ে ওঠা পর্যন্ত। এখন কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে বিট করতে হবে। এই মিশ্রণে ময়দার মিশ্রণ ও ওট মিলিয়ে ডো বানাতে হবে। ডো আধা ঘণ্টা নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পিঁড়ির ওপর পলিথিন বিছিয়ে এর ওপরে ডো, তারপর পলিথিন দিয়ে ডো মোটা করে বেলে নিতে হবে। মানুষের শেপের ছাঁচ বা কাটার দিয়ে কেটে গ্রিজ করা বেকিং ট্রেতে সাজিয়ে বেক করতে হবে। প্রিহিটেড ওভেনে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট। ঠান্ডা করে চকলেট দিয়ে নাম লিখতে হবে। সব কুকি নরমাল ফ্রিজে রাখতে হবে, মচমচে থাকবে।
লেখার জন্য চকলেটের প্রস্তুতি: ৬০ গ্রাম চকলেট ডবল বয়লারে গলিয়ে ঠান্ডা করে পাইপিং ব্যাগ বা কোণে ভরে কুকির ওপর লিখতে হবে।

লগ কেক

লগ কেক
উপকরণ : ডিম ৪টা, ময়দা আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, বেকিং ১ চা চামচ, গুড়া দুধ ১ টেবিল চামচ, ড্রাইগ্লুকোজ ২ টেবিল চামচ, ভেনিলা লিকুইড ১ চা চামচ, বাটার ১ কাপ, আইসিংসুগার আধা কাপ, ফুড কালার গোলাপী, হলুদ সবুজ প্রয়োজনমত, সুগার সিরাপ আধা কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন : ডিমের কুসুম আর সাদা অংশ আলাদা করুন। সাদা অংশের মেরাং করুন চিনি মিশান, কুসুম মিশান ১০ মিনিট বিট করুন। এবার সব পাউডার জাতীয় উপকরণগুলো মিশিয়ে লগ ডাইসে অয়েল পেপার সেট করে কেকের ডো ঢেলে ইলেকট্রিক ওভেনে ৩০ মিনিট বেক করে নিন। কেক ওভেন থেকে বের করে ঠান্ডা করে ডেকোরেশন করুন। বাটার আইসিং সুগার ফুড কালার দিয়ে বিট করে ক্রিম তৈরি করে নিন। এবার সেই ক্রিম দিয়ে সাজিয়ে তৈরি করুন লগ কেক।

তালের কেক

তালের কেক
[ছয়জনের জন্য পরিবেশন]
উপকরণ: তালের রস ১ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, চালের গুঁড়া ৩ কাপ, খাওয়ার সোডা সিকি চা-চামচ, ডিম ১টা, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, কনডেন্সড মিল্ক সিকি কাপ, নারকেল কোরানো আধা কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ কাপ, কাঁঠালের পাতা প্রয়োজনমতো, ধানের খড় বা বিচালি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: তালের রস, চালের গুঁড়া, বেকিং পাউডার ও খাওয়ার সোডা একসঙ্গে মাখিয়ে গরম জায়গায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। যখন ফুলে উঠবে, তখন বাকি উপকরণগুলো মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কিছু খড় বা বিচালি ধুয়ে পরিষ্কার করে একটি কড়াইয়ে নিতে হবে। ২-৩ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। যখন পানি ফুটে ভাপ উঠবে, তখন কাঁঠালের পাতা দিয়ে খিলি বানিয়ে টুথপিক দিয়ে আটকিয়ে খড়ের ফাঁকে ফাঁকে গুঁজে দিয়ে বানানো ডো ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাব দিতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। একটি সাসলিক কাঠি ঢুকিয়ে তুলে নিতে হবে। যদি কাঠি তেলতেলা থাকে, তবে বুঝতে হবে কেক হয়ে গেছে। এবার নামিয়ে গরম অথবা ঠান্ডা পরিবেশন।

ক্রিসমাস ক্যান্ডেল কেক

ক্রিসমাস ক্যান্ডেল কেক
উপকরণ : ডিম ৮টি, চিনি ১ কাপ, বাটার ২ কাপ, আইসিং সুগার ১ কাপ, ফুড কালার পরিমাণমত, ময়দা ১ কাপ, ড্রাই গ্লুকোজ ৪ চা চামচ, ছোট মোম ১টি।
যেভাবে তৈরি করবেন : ৬টি ডিম দিয়ে ১টি গোল কেক তৈরি করুন। ২টি ডিম দিয়ে একটি রোল কেক তৈরি করুন। এবার ক্রিস্টাল আধা কাপ গরম পানিতে গুলে ঠান্ডা করে জেলী তৈরি করুন। এবার গোল কেকে প্রথমে ক্রীম পরে জোলার প্রলেপ দিয়ে রোল কেক উপরে বসিয়ে ক্রীম দিয়ে ডেকোরেশন করুন। ছোট মোম শো হিসেবে উপরে সাজিয়ে দিন এবং চারপাশে ছোট মোম সাজিয়ে দিন।

ক্রিসমাস লগ কেক

ক্রিসমাস লগ কেক
উপকরণ: ডিম ৫টি, ময়দা এক কাপের চার ভাগের তিন ভাগ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, কোকো পাউডার ১ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, চিনি আধা কাপ, ভ্যানিলা সিকি চা চামচ, চকলেট ৩৫০ গ্রাম, মাখন ২০০ গ্রাম, আইসিং সুগার আধা কাপ, চেরি ৪টি, খেজুর ৮টি, আমন্ড ও পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: ময়দা, গুঁড়া দুধ, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে।
ডিমের সাদা অংশ ফোম করে চিনি, হলুদ অংশ ও ভ্যানিলা দিয়ে কিছুক্ষণ বিট করে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে নিন। ১১ বাই ১২ ইঞ্চি ট্রের মাপে ব্রাউন পেপার কেটে মাখন লাগিয়ে কেকের ডো ঢেলে দিন। এবার প্রিহিটেড ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১২ থেকে ১৫ মিনিট বেক করতে হবে।
চকলেট গলিয়ে মাখন ও আইসিং সুগার দিয়ে বিট করে শুকনো ফলের কুচি মিলিয়ে কেকের ওপর লাগিয়ে রোল করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে কেকের ওপর বাকি ক্রিম লাগিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

দই ক্রিম কেক

উপকরণ: মেরি বিস্কুট দুই প্যাকেট। সফট ক্রিম একটিন (ছোট)। আধা লিটার সাদা দই, সাজানোর জন্য ফ্রেশ কেক, দুধ দুই কাপ, আধা চামচ কফি, এক টিন কনডেন্সড মিল্ক।
প্রণালী: দুধ অল্প গরম করে কফি মিলিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। দই ও ক্রিম ভালো করে ফেটিয়ে কনডেন্সড মিল্ক মেশাতে হবে। আবার ফেটাতে হবে। এবার ডিসে এক প্রস্থ দইয়ের মিশ্রণ দিতে হবে। মেরি বিস্কুট, কফি দুধে ভিজিয়ে উঠিয়ে দইয়ের ওপর বিছাতে হবে, বিস্কুট এমনভাবে ভেজাতে হবে যেন তা আস্ত থাকে, ভেঙে না যায়। এভাবে একের পর এক লেয়ার তৈরি করে শেষ বার কেকটা গুঁড়ো করে ঢেকে দিতে হবে। ওপরে গেট করা চকোলেট দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে তৈরি করা যায় দই ক্রিম কেক।

স্ট্রবেরী শর্ট কেক

স্ট্রবেরী শর্ট কেক
উপকরণঃ স্ট্রবেরী ফ্লেভার ১ চা চামচ, স্ট্রবেরী কালার সিকি চামচ, ময়দা আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, কেক ইম্প্রুভার ১ চা চামচ, বাটার ১ কাপ, আইসিং সুগার আধা কাপ, ক্রিম ফ্লেভার আধা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ বাটার, আইসিং সুগার, ক্রিম ফ্লেভার ১০ মিনিট একসাথে বিট করে ক্রিম তৈরি করে নিন। ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ এগসেপারেটরের সাহায্যে আলাদা করে সাদা অংশের মেরাং তৈরি করুন। চিনি মেশান, ১০ মিনিট বিট করুন। এবার ময়দা, বেকিং পাউডার, কেক ইম্প্রুভার, স্ট্রবেরী ফ্লেভার ও কালার মিশিয়ে নিন। এবার কেকের ডাইসে কেক সেট করে ওভেনে বেক করুন। কেক ঠান্ডা করে ক্রিম দিয়ে ডেকোরেশন করে সার্ভ করুন।

সান্তাক্লজ কেক

সান্তাক্লজ কেক
উপকরণ: ডিম ৬টি, ময়দা ১ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, চিনি আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স সিকি চা চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: ময়দা, গুঁড়া দুধ, বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে চিনি, হলুদ অংশ ও ভ্যানিলা দিয়ে কিছুক্ষণ বিট করে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করে স্পঞ্জ কেক বানাতে হবে। কেক ঠান্ডা করে সান্তাক্লজ আকারে কেটে সুগার সিরাপ লাগিয়ে সফট ক্রিমের সঙ্গে লাল ও চকলেট রং মিলিয়ে সান্তাক্লজের আকারে কেকে লাগিয়ে নিতে হবে।
সফট ক্রিম তৈরি: মাখন ৪০০ গ্রাম, আইসিং সুগার ২ কাপ, ভ্যানিলা আধা চা চামচ, বরফ কিউব ৫-৬টি।
প্রণালী: মাখন, আইসিং সুগার, ভ্যানিলা একসঙ্গে মিলিয়ে বরফ দিয়ে বিট করতে হবে।
সুগার সিরাপ: চিনি ৪ টেবিল চামচ, পানি ১ কাপের চার ভাগের তিন ভাগ, ভ্যানিলা সামান্য।

চকলেট স্পঞ্জ কেক

চকলেট স্পঞ্জ কেক
উপকরণঃ ডিম ৪টি, কোকো ১ টেবিল চামচ, চকলেট কালার সিকি চামচ, কেক ইম্প্রুভার ১ চা চামচ, চকলেট সিরাপ ১ টেবিল চামচ, ময়দা আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, ব্ল্যাক সিরাপ ৬ টেবিল চামচ, চকলেট ক্রিম ২ কাপ, ওয়েফার ৪/৫টি, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ ডিমের কুসুম সাদা অংশ আলাদা করুন। সাদা অংশে মেরাং তৈরি করুন এগবিটারের সাহায্যে। ময়দা, কোকো, চকলেট কালার, বেকিং পাউডার একসাথে ঢেলে নিন। ডিমের সাদা অংশের মেরাং এর সাথে চিনি মিক্স করে ১০ মিনিট বিট করে নিন। এবার একটা পেস্ট এর মত মনে হবে। এই পেস্ট এর সাথে বাকী উপকরণ গুলো মিশিয়ে স্প্যাচুলার সাহায্যে আলতো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিক্সিং পেস্ট কেক ডাইসে সেট করে বেক করুন। ১৬০ সেন্টিগ্রেটে ৩০ মিনিট বেক করুন। কেক ওভেন থেকে বের করে ওয়েভার চকলেট ক্রিম চকলেট সিরাপ দিয়ে ডেকোরেশন করুন।
টিপসঃ গরম কেকে ক্রিম দিয়ে ডেকোরেশন করলে ক্রিম গলে যাবে। তাই কেক বেক হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ডেকোরেশন করুন।

ডেটস লাইম টার্ট

উপকরণ : খোসা ও বিচি ছড়ানো শুকনো খেজুর, ১০টি ডিমের কুসুম, ৮০ গ্রাম চিনি, নিংড়ে নেওয়া একটি লেবুর রস, ৬০০ মিলিমিটার পাতানো ক্রিম, একটি মিষ্টি পেস্টি লাগবে টার্টকে আকৃতি দেওয়ার জন্য।
প্রস্তুত প্রণালী : টার্ট শেলের (বহিরাবরণ) চারপাশে খেজুর স্থাপন করতে হবে। ভেতরের খেজুরগুলোকে নিচের দিকে রাখতে হবে। এরপর একে একে কুসুম, চিনি, লেবুর রস এবং ক্রিম মেশাতে হবে, যতণ না খুব ভালোভাবে মিয়ে যায়। এরপর এ মিশ্রণ খুব ধীরে ধীরে টার্ট শেলের চারপাশে মেশাতে হবে। পরে টার্ট বেকিং ট্রেতে নিয়ে ১৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বেক করতে হবে।

চকলেট কেরামেল পুডিং

চকলেট কেরামেল পুডিং
উপকরণঃ ডিম ৬টি, চিনি ১ কাপ, পানি ১ কাপ, চকলেট সিরাপ ১ টেবিল চামচ, চকলেট এসেন্স ১ চা চামচ, কেরামেল ১ টেবিল চামচ, গুড়া দুধ ১ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেনঃ ডিম, চিনি, পানি ও গুড়া দুধ একসাথে ৫ মিনিট বিট করে নিন। তার সাথে চকলেট সিরাপ চকলেট এসেন্স মিক্স করুন। ২/৩ মিনিট কাটা চামচে নেড়ে নিন। যে পাত্রে চকলেট কেরামেল পুডিং জমাবেন সেই পাত্রে চিনি ও অল্প ঘি ছিটিয়ে ১ মিনিট চুলায় বসিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কেরামেল। এবং পুডিং দিন ১০ মিনিট ডাবল স্টিম করুন। পুডিং ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
টিপস: গরম পুডিং পাত্র থেকে উল্টাতে গেলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অতএব পুডিং ঠান্ডা করে ঢালুন।

ব্যানানা কেক

উপকরণ : ৪০০ গ্রাম খোসা ছাড়ানো পাকা কলা, ৪০০ গ্রাম চিনি, ২৫০ মিলিমিটার ডিম (সাদা অংশ ও কুসুম), ১০০ মিলিমিটার সবজি তেল, ৩০০ গ্রাম ময়দা, ১০ গ্রাম বাইকার্বোনেট অব সোডা, ২৫০ মিলিমিটার দুধ।
প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে একটি পাত্রে কলা ও চিনি নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে মিহি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর ডিম ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মেশান। এরপর দুধ ছাড়া বাকি সব উপাদান মিশিয়ে শেষে দুধ মেশান। বেকিং ট্রেতে বেকিং পেপার বিছিয়ে তাতে উপকরণগুলো নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ৩০-৪০ মিনিট বেক করুন

ফলের পাই

ফলের পাই
পাই খামির বা সুইট ডোর উপকরণ: ময়দা দেড় কাপ, কোকো পাউডার ৪ টেবিল চামচ, আইসিং সুগার এক কাপের চার ভাগের তিন ভাগ, ডিমের কুসুম ৪টি, মাখন ১০০ গ্রাম, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স সিকি চা চামচ।
প্রণালী: ময়দা, বেকিং পাউডার ও কোকো পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। মাখন, আইসিং সুগার ও ডিমের কুসুম একসঙ্গে বিট করে ময়দার মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে মথে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে খামির বের করে খামির বেলে পাই মোল্ডে রেখে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট বেক করতে হবে।
পাই ফিলিং: ডিমের সাদা অংশ ৪টি, বিস্কুটের গুঁড়া আধা কাপ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, আইসিং সুগার সিকি কাপ, কুকিং চকলেট ১০০ গ্রাম, ভ্যানিলা এসেন্স সামান্য, খেজুর কুচি ২ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, আখরোট কুচি ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, চেরি কুচি ২ টেবিল চামচ, আপেল ২টি, আঙুর আধা কাপ।
প্রণালী: কুকিং চকলেট গলিয়ে ফলের কুচি মিশিয়ে পাইয়ের ওপর ঢেলে দিতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে ভ্যানিলা দিয়ে বিস্কুটের গুঁড়া, আইসিং সুগার, কোকো পাউডার ভাঁজে মিলিয়ে পাইয়ের ওপর ঢেলে দিয়ে ১৬০ ডিগ্রি তাপে ২০ মিনিট বেক করতে হবে। আপেল ও আঙুর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

হোয়াইট চকোলেট চিপ


উপকরণ : ২৩০ গ্রাম লবণ ছাড়া মাখন, ৪৮০ গ্রাম চিনি, পাঁচটি ডিম (সাদা অংশ ও কুসুম), ৯০ গ্রাম কোকো পাউডার, ২১০ গ্রাম ময়দা, ১৫০ গ্রাম ওয়ালনাট (আখরোট) টুকরো করে কাটা, ১৫০ গ্রাম হোয়াইট চকোলেট দানা বা টুকরো করে কাটা।
প্রস্তুত প্রণালী : একটি পাত্রে মাখন ও চিনি নিয়ে ভালো করে ফেটাতে হবে মাখা মাখা হয়ে আসা পর্যন্ত। এশটির পর একটি ডিম মেশাতে হবে। একটি করে মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে অপরটি মেশাতে হবে। এরপর বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেশানোর পর খানিকক্ষণ রেখে দিতে হবে ভালোভাবে মিশে যাওয়ার জন্য। ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৪০ মিনিট বেক করতে হবে।

মিক্সড মার্বেল কেক

উপকরণঃ
  1. মাখন — ১৫০ গ্রাম, 
  2. ২০০ গ্রাম ক্যাস্টর চিনি, 
  3. ভ্যানিলা – ১ চা-চামচ,  
  4. ডিম – ২টো, 
  5. সেল্ফ রেইসিং ফ্লাওয়ার চালা — ২২৫ গ্রাম,
  6. নুন — ১ চিমটে, 
  7. দুধ – ৪ টেবল  চামচ, 
  8. লাল রং — ১/২ চা-চামচ, 
  9. কোকো পাউডার — ২ টেবল চামচ (একটু জলে গলানো) 
প্রণালীঃ
  1. মাখন ও চিনি ক্রিমে দিয়ে ফেটিয়ে নিন।
  2. তারপর ভ্যানিলার সঙ্গে ডিম দিয়ে ফেটিয়ে নিন।
  3. ময়দা  ও নুন দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিন। মাখনকে তিন ভাগ করে নিন।
  4. একটিতে লাল রং দিন, দি্বতীয়টিতে  কোকো মিশ্রণ ও তৃতীয়টি এমনি রাখুন।
  5. মিশ্রণগুলি পরিবর্তন করে করে একটি ওয়েল গ্রিসড ৭ ইঞ্চি  কেক টিনে রেখে কেটে মিশ্রণটাকে ছুরি দিয়ে কয়েকবার ঘুরিয়ে নিন।
  6. ওভেনে বসিয়ে গরম করুন যতক্ষণ  না ছুরি সহজে ঢুকে যায় (১৮০ ডিগ্রি সেনি্টগ্রেড/৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।

ব্যানানা কেক

উপকরণঃ
৪০০ গ্রাম খোসা ছাড়ানো পাকা কলা,
৪০০ গ্রাম চিনি,
২৫০ মিলিলিটার ডিম (সাদা অংশ ও কুসুম),
১০০ মিলিলিটার সবজি তেল,
৩০০ গ্রাম ময়দা,
১০ গ্রাম বাইকার্বোনেট অব সোডা,
২৫০ মিলিলিটার
দুধ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটি পাত্রে কলা ও চিনি নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে মিহি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
এরপর ডিম ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মেশান।
এরপর দুধ ছাড়া বাকি সব উপাদান মিশিয়ে শেষে দুধ মেশান।
বেকিং ট্রেতে বেকিং পেপার বিছিয়ে তাতে উপকরণগুলো নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ৩০-৪০ মিনিট বেক করুন।

চকোলেট পেকান

উপকরণ : একটি মিষ্টি পেস্ট্রি টার্ট শেলকে (আবরণ) আকৃতি দেওয়ার জন্য, ১০০ গ্রাম মিল্ক চকোলেট দানা বা টুকরো করে কাটা, ৫০ গ্রাম লবণ ছাড়া মাখন, চারটি ডিম (সাদা অংশ ও কুসুম), ২০০ মিলিমিটার ম্যাপল সিরাপ, ২০০ গ্রাম পেকান (এক প্রকার পশ্চিমা বাদাম) এলোমেলোভাবে টুকরো করা।
প্রস্তুত প্রণালী : একটি বেকিং ট্রেতে টার্ট শেল রাখুন, যেন তা তুলতে বা ওভেনে রাখতে সুবিধাজনক হয়। এরপর টার্ট শেলের ওপর পেকান ছিটিযে দিন। চকোলেট ও মাখন একসঙ্গে মেশান, ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত। একে একে দুধ, ডিম, সিরাপ দিন। ১৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বেক করুন।

চকোলেট পেকান টার্ট

উপকরণ : একটি মিষ্টি পেস্ট্রি টার্ট শেলকে (আবরণ) আকৃতি দেওয়ার জন্য, ১০০ গ্রাম মিল্ক চকোলেট দানা বা টুকরো করে কাটা, ৫০ গ্রাম লবণ ছাড়া মাখন, চারটি ডিম (সাদা অংশ ও কুসুম), ২০০ মিলিমিটার ম্যাপল সিরাপ, ২০০ গ্রাম পেকান (এক প্রকার পশ্চিমা বাদাম) এলোমেলোভাবে টুকরো করা।
প্রস্তুত প্রণালী : একটি বেকিং ট্রেতে টার্ট শেল রাখুন, যেন তা তুলতে বা ওভেনে রাখতে সুবিধাজনক হয়। এরপর টার্ট শেলের ওপর পেকান ছিটিযে দিন। চকোলেট ও মাখন একসঙ্গে মেশান, ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত। একে একে দুধ, ডিম, সিরাপ দিন। ১৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বেক করুন।

Tuesday, October 4, 2016

ডিম

 

টমেটো অমলেট

টমেটো অমলেট

ডিম, হাঁসের১টিপেঁয়াজ, কুচি১টি
পানি১টে.চাকাঁচামরিচ,কুচি১টি
তেল১টে.চাধনেপাতা, কুচি২চা চা
টমেটো, কুচি২টে.চালবণ/৪  চা. চা.
১। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ধনেপাতা ও লবণ একসাথে মিশাও।
২। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেট এবং পানি দিয়ে ফেট। পেঁয়াজ ও মরিচ মিশাও।
৩। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম কর। ডিম দাও। প্যান ঘুরিয়ে ডিম ছড়িয়ে দাও। উনুনের আঁচ কম রাখ।
৪। ডিমের উপর টমেটো ছড়িয়ে দাও। ডিমের নীচের অংশে হালকা বাদামী রং ধরলে দুভাজঁ করে গরম প্লেটে তোল।


দোপেঁয়াজা ডিম

দোপেঁয়াজা ডিম

ডিম৮টিগোলমরিচ, বাটা/৪  কাপ
পেঁয়াজ, স্লাইস/৪  কাপকাঁচামরিচ৬টি
হলুদ, বাটা১চা চাধনে বা পুদিনাপাতা১টে.চা
মরিচ, বাটা১চা চালবণ১চা চা
আদা, বাটা/৪  কাপতেল/২  কাপ
১। ডুবানো পানিতে ডিম দিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ কর। ঠান্ডা পানিতে দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নাও। ডিমের উপরে লম্বায় হাল্কাভাবে ৩-৪টি দাগ টান।
২। পেঁয়াজ মিহি কুচি করে কেটে বাটা মসলা ও লবণ মিশাও।
৩। কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ছেড়ে নাড়তে থাক। পেঁয়াজ নরম হলে /৪  কাপ পানি দিয়ে ভাজ। কাঁচামরিচ, ধনেপাতা ও ডিম দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়, যেন ডিমে মসলা লাগে। চুলায় ২ মিনিট রেখে নামিয়ে নাও।

ডাল ডিম কারি

ডাল ডিম কারি

হাঁসের ডিম৮ টিজিরা,বাটা২ চা. চা.
ছোলার ডাল/২  কাপতেজপাতা১ টি
পেঁয়াজ,বাটা৬ টিলবণ২ চা. টা.
আদা,বাটা২ চা. চা.চিনিচা. চা.
রসুন,বাটা১ চা. চা.তেল/কাপ
হলুদ,বাটা১ চা. চা.ঘি২ টে. চা.
মরিচ,বাটা১ চা. চাজিরা,টালা,গুঁড়া১ চা. চা
ধনে,বাটা২ চা. চা,দারচিনি,গুঁড়া১ চা. চা

১। ছোলার ডাল ৫ কাপ পানিতে সিদ্ধ কর। ডিম নরম সিদ্ধ কর।
২। তেল গরম করে ২ টি পেঁয়াজ কুচি,তেজপাতা ও ২টি কাঁচামরিচ দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজ। অন্যান্য বাটা মসলা ও আদা কাপ পানি দিয়ে কষাও।
৩। ডাল,লবণ ও চিনি দিয়ে অল্পক্ষণ কষিয়ে ডিম ও ৪টি কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে ২-৩ মিনিট সিদ্ধ কর। বেশি ঘন হলে ১-২ কাপ পানি দাও।ফুটে উঠলে ২ টেবিল চামচ ঘি ও গুঁড়া মসলা দিয়ে নেড়ে নামাও।

ডিম চিংড়ি ফুঃ উঃ

ডিম চিংড়ি ফুঃ উঃ

সয়াবিন তেল৪ টে, চা.চিংড়ি,সিদ্ধ কুচি১ কাপ
পেঁয়াজ,কুচি/৪  কাপলবণ/২  কাপ
রসুন,কুচি/৪  চা. চা.গোলমরিচ,গুঁড়া/৮  চা. চা.
ডিম,হালকা ফেটানো৬ টি

১। এক টে. চামচ গরম তেলে পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে নাড়। পেঁয়াজ নরম হলে (ভাজবে না) ফ্রাইপ্যান থেকে তুলে ডিম,চিংড়ি লবণ ও গোলমরিচের সঙ্গে মিশাও।
২। ফ্রাইপ্যানে ৩ টে.চামচ তেল গরম কর। মিশানো ডিম ঢেলে দাও। চুলার আঁচ কম রাখ। ডিম জমাট বাঁধতে আরম্ভ করলে খুন্তি দিয়ে একদিকে সামান্য তুলে ধর যেন কাঁচা ডিমের অংশ নীচে পড়ে।
৩। ডিমের নীচে বাদামী হলে দু’ভাঁজ করে অথবা মুড়ে প্লেটে নাও।
৪। চাইনিজ ব্রাউন সস দিয়ে পরিবেশন কর। ৬ পরিবেশন হবে।

স্ক্র্যাম্বল্ড এগ

স্ক্র্যাম্বল্ড এগ

ডিম২ টিগোলমরিচ (ইচ্ছা)/ কাপ
দুধ/ কাপসয়াবিন তেল বা ঘি১ চা. চা.
লবণ/ কাপ

১। ডিম কাঁটাচামচ দিয়ে ফেটে নাও। দুধ,লবণ ও গোলমরিচ মিশাও।
২। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে উনুন থেকে নামিয়ে হালকা গরম প্যানে ডিম দাও। আঁচ কমিয়ে ফ্রাইপ্যান উনুনে দাও। ডিম ঘন হতে আরম্ভ করলে খুন্তি দিয়ে প্যানের তলা থেকে ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে নাড়। জমাট বাঁধলে নামাও।

নারগেসী কোফতা

নারগেসী কোফতা

ডিম৬টিতেল১কাপ
কিমা/২  কেজিজিরা, বাটা২চা চা
মরিচ, বাটা১টে.চাধনে, বাটা২চা চা
গোলমরিচ, বাটা/২  চা চাহলুদ, বাটা/২  চা চা
গরম মসলা, বাটা/২  চা চালবণ২চা চা
দই/৪  কাপতেজপাতা১টি
পাউরুটি, স্লাইস২টিপেঁয়াজ, বেরেস্তা/২  চা চা
১। পাঁচটা ডিম কড়া সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখ।
২। মাংস মিহি কিমা কর। ১চা চামচ মরিচ, /৪  চা চামচ গোলমরিচ, বাটা গরম মসলা, ১চা চামচ লবণ ও ২টে.চামচ দই দিয়ে কিমা মাখাও। পাউরুটি পানিতে ভিজিয়ে খুব ভাল করে পানি নিংড়ে নাও। কিমার সংগে বাকি একটা ডিম ও পাউরুটি মিশাও।
৩। কিমা পাঁচ ভাগ কর। কিমার ভিতরে সিদ্ধ ডিম ভরে সুন্দর করে ডিমের আকারে কোফতা কর। ডুবো তেলে নারগেসী কোফতা ভেজে নাও।
৪। ভাজা তেলে বাকি মসলা দিয়ে কষাও। ভাজা কোফতা, বেরেস্তা ও দই দাও। মৃদু আঁচ রান্না কর। তেলের উপরে উঠলে নামাও। কোফতা লম্বায় দুটুকরা করে পরিবেশন কর।

বেকড পনির ওমলেট

বেকড পনির ওমলেট

ডিম১ টিপাউরুটি,মোটাকুচি২ কাপ
দুধ৩ কাপলবণ১ চা. চা.
পনির,কুরানো১ কাপঊস্টার সস১ টে. চা.

১। ডিম কাঁটাচামচ দিয়ে ফেট। দুধ মিশাও। অন্যান্য উপকরণ মিশাও। দেড় কেজি বেকিং পাত্রে ঘি বা মাখন মাখাও। মিশানো উপকরণ ঢেলে দাও।
২। বড় একটি পাত্রে পানি নাও যেন বেকিং পাত্রটি এক-তৃতীয়াংশ ডোবে।
৩। ওভেনে ১৮০º সেঃ (৩৫০º ফাঃ ) তাপে বেক কর। জমাট বাঁধলে নামিয়ে নাও।

ডিমের নানা রকম

বাইরে ঝুমবৃষ্টি। বাজার হবে কীভাবে? চিন্তা নেই, ফ্রিজে ডিম নিশ্চয়ই আছে। তা দিয়েই বানিয়ে নিন মজাদার সব খাবার। রেসিপি দিয়েছেন নাসরিন আলম
এগ পাইন-অ্যাপল সালাদ
উপকরণ: আনারস একটি তাজা সবুজ পাতাসহ, কোয়েলের ডিম সেদ্ধ ১২টি, গাজর কুচি করা একটি, মাঝারি আনারসের টুকরো পরিমাণমতো, আপেল টুকরা ১টি, টক দই পানি ঝরানো এক কাপ, ধনেপাতার কুচি আধা কাপ, লবণ, গোলমরিচ, চিনি, কাঁচা মরিচ (বিচি ফেলা) স্বাদমতো, তেঁতুলের চাটনি দুই টেবিল-চামচ।
প্রণালি: আনারস অর্ধেক করে কেটে নিতে হবে পাতাসহ। খুব সাবধানে চামচ দিয়ে শাঁস তুলে খোলটা নিতে হবে পরিবেশন করার জন্য।
দই, লবণ, গোলমরিচ, চিনি, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ ও তেঁতুলের চাটনি একসঙ্গে মিলিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে। বোলে গাজর, আনারস, আপেল ও লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে। পরিবেশনের আগে দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে ফল ও ডিম মেখে আনারসের খোলে ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশন।
* আনারস কাটার আগে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে পাতাসহ।
এগটার্ট
উপকরণ: ময়দা আড়াই কাপ, ডিম একটি, মাখন ১০০ গ্রাম, চিনি আধা কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গুঁড়া দুধ দুই টেবিল-চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা-চামচ।
প্রণালি: ময়দা, গুঁড়া দুধ, বেকিং পাউডার একসঙ্গে টেলে নিতে হবে। বোলে ডিম, মাখন ও চিনি খুব করে বিট করে এসেন্স মেলাতে হবে। অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণ দিয়ে বিট করতে হবে। মসৃণ ডো হবে। এই ডো আধা ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। আধা ঘণ্টা পরে এর ওপর দুই স্তরে পলিথিন দিয়ে বেলে টার্ট কাপে বসাতে হবে। প্রিহিটেড ওভেনে বেক করতে হবে বাদামি হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে। টার্ট শেল বেক হলে টার্ট কাপ থেকে বের করে বেকিং ট্রের ওপর সেট করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর ডিমের ফিলিং ভরে আবারও বেক করতে হবে ফিলিং জমা পর্যন্ত। এই এগটার্ট গরম, ঠান্ডা ইচ্ছামতো খাওয়া যাবে।
ডিমের ফিলিং
উপকরণ: ডিম তিনটি, গুঁড়া দুধ এক কাপ, চিনি আধা কাপ, পানি এক কাপ, এসেন্স (ভ্যানিলা) আধা চা-চামচ, হলুদ রং এক ফোঁটা।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ বোলে নিয়ে বিটার দিয়ে বিট করে নিতে হবে। এই ফিলিং ঠান্ডা টার্ট শেলে ভরে বেক করতে হবে।
স্পাইসি এগ বল
খামিরের জন্য ডো
উপকরণ: ময়দা এক কাপ, বেকিং পাওডার এক চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল দুই চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতার কুচি তিন টেবিল-চামচ, গোলমরিচের গুঁঁড়া বা লাল কাঁচা মরিচের কুচি এক চা-চামচ, গরম দুধ সিকি কাপ।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ বোলে নিয়ে মসৃণ খামির বানাতে হবে (প্রয়োজনে দুধ দিতে হবে)। খামির আধা ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।
ডিমসেদ্ধ আটটি (শক্ত সেদ্ধ), আনারস বা কমলার জেলি দু-তিন টেবিল-চামচ, মাখন দুই টেবিল-চামচ, সেদ্ধ ডিমে জেলি মাখিয়ে মাখন দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। ঢেকে রাখা খামির সমান আট ভাগ করে নিতে হবে। প্রতি ভাগে ডিম ভরে ভেজে নিতে হবে সোনালি হওয়া পর্যন্ত। সস বা সালাদ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
স্পাইসি বেক্ড অমলেট
উপকরণ: মুরগির কিমা এক কাপ (লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে মেখে রাখতে হবে)। ক্যাপসিকাম একটি কিউব করে কাটা, তেল দুই টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ কিউব এক কাপ।
প্রণালি:
তেল গরম হলে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনে নিন। মাখানো কিমা এতে দিয়ে নাড়াচাড়া করে সেদ্ধ হলে ক্যাপসিকাম দিয়ে নামাতে হবে।
ডিম আটটি, টমেটো কিউব দুটি, ধনেপাতার কুচি এক কাপ, কাঁচা মরিচের কুচি (বিচি ফেলা) তিনটি, লবণ বা গোলমরিচ স্বাদমতো। পনির গ্রেট করা সিকি কাপ। এসব উপকরণ বড় বোলে ডিম, টমেটো, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, লবণ, গোলমরিচ দিয়ে খুব করে ফেটে নিতে হবে। ডিমের গোলায় সেদ্ধ করা মুরগির কিমা মিলিয়ে নিতে হবে। গ্রিজ করা প্যানে মিশ্রণটি ঢেলে মাঝারি আঁচে বেক করতে হবে ২০-২৫ মিনিট প্রিহিটেড ওভেনে। পরে সাজিয়ে সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।

ফাঁপানো অমলেট

ফাঁপানো অমলেট

ডিম৪ টিলবণ/২  চা. চা.
পানি৪ টে.চা.গোলমরিচ/৪  চা. চা.
তেল বা ঘি১ টে. চা.

১। ডিমের সাদা অংশ জমাট করে ফেট।
২। ডিমের কুসুমে পানি এবং লবণ দিয়ে ফেট।
৩। ফ্রাইপ্যান গমর করে ঘি দাও। চুলা থেকে নামাও। ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম একসাথে মিশিয়ে ফ্রাইপ্যানে দিয়ে মৃদু আঁচে চুলায় দাও। মাঝে মাঝে প্যান ঘুরিয়ে দাও যেন সমানভাভে তাপ পায়। ডিমের নীচের অংশ হালকা বাদামী হলে ওভেনে ১৮০º সেঃ (৩৫০º ফাঃ) তাপে উপরের র‌্যাকে দিয়ে অমলেটের উপরটা বাদামী কর।

ডিম টমেটো খাংগিনা

ডিম টমেটো খাংগিনা

ডিম২টিকাঁচামরিচ, ফালি২টি
টমেটো, কুচি৪টিধনেপাতা, কুঁচি২টে.চা
মরিচ, বাটা১চা চালবণ১চা চা
পেঁয়াজ, কুচি১টে.চাতেল/৪  কাপ
১। তেল বাদে অন্যান্য সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ফেটে নাও।
২। তেল গরম করে ডিম টমেটোর মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে থাক। ঘন জমাট হবার পর কষাতে থাক। তেল বের হলে নামাও।

ডিমের কোপ্তা কারি

ডিমের কোপ্তা কারি
উপকরণ: বড় ডিম ৬টি, গুঁড়া দুধ এক কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জায়ফল গুঁড়া সামান্য।
প্রণালী: ডিম ফেটিয়ে নিয়ে সব উপকরণ মিলিয়ে আবারও ফেটিয়ে পুডিংয়ের মোল্ডে অথবা সসপ্যানে ঘি অথবা মাখন লাগিয়ে ডিমের মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩০-৩৫ মিনিট বেক করতে হবে অথবা ভাপে সেদ্ধ করেও করা যায়।
ঠান্ডা হলে প্লেটে ঢেলে ছুরি দিয়ে ছোট ছোট টুকরা করতে হবে।
গ্রেভির জন্য: তেল আধা কাপ, ঘি সিকি কাপ, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, বেরেস্তা ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রণালী: তেল ও ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা ভালো করে কষিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে আবার কষাতে হবে। বেরেস্তা গুঁড়া করে দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে দেড় কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা দই দিয়ে ডিমের টুকরা দিতে হবে। তেলের ওপর এলে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।

পোচ ডিম ভুনা

পোচ ডিম ভুনা
উপকরণ: ডিম ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৩-৪টি, তেল প্রয়োজনমতো, লবণ স্বাদমতো, পানি ১ কাপ।
প্রণালি: প্রতিটি ডিম ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে পোচ করে ভেজে তুলে রাখুন। ফ্রাইপ্যানে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ, আদাবাটা, রসুন বাটা, দারচিনি, এলাচ, হলুদ-মরিচের গুঁড়া, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। মসলা কষা হলে এক কাপ পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে একে একে পোচ করা ডিমগুলো দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।

ডিম বল

ডিম বল
উপকরণ: ৬টি ডিম, ১টি নারকেলের দুধ, আদা বাটা, রসুন বাটা, পোস্তদানা, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি, আধা কাপ খাবার তেল।
প্রসু্ততপ্রণালী: গরম কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য মসলা দিয়ে দেব। সঙ্গে পরিমাণমতো লবণ। তারপর নারকেল দুধটা দিয়ে দেব কড়াইয়ে। এবার চামচ দিয়ে নাড়তে হবে কিছুক্ষণ।
এদিকে ৬টি ডিম সেদ্ধ করে সেগুলো থেকে প্রথমে কুসুম ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর সাদা অংশটুকু শিল-পাটায় বেটে নিতে হবে। একপর্যায়ে কুসুমও সাদা বাটার সঙ্গে মিশিয়ে বেটে নিতে হবে। এরপর দুই হাতে একটু তেল মেখে নিয়ে ডিম বাটার অংশ নিয়ে ছোট ছোট বল বানাতে হবে। এ বলগুলো ফ্রাইপ্যানে নিয়ে সামান্য তেলের মধ্যে ভেজে নিতে হবে। তারপর কষানো মসলায় ডিমের বলগুলো ছেড়ে দিই। কিছুক্ষণ চুলোয় রেখে ডিম বল চুলো থেকে নামিয়ে ফেলি। মুখে দিলেই দারুণ এক স্বাদ পাওয়া যাবে ডিম বলের।

ডিমের কাশ্মীরি কোরমা

ডিমের কাশ্মীরি কোরমা
উপকরণ: সিদ্ধ ডিম ৬টি, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, ঘি সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, কিসমিস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রণালী: তেল, ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা কষিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে ১ কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা ও দই দিতে হবে। কিসমিস ও ডিম দিয়ে নামাতে হবে।

কড়া সিদ্ধ ডিম

কড়া সিদ্ধ ডিম

ডিম৪ টিপানি৬ কাপ

১। হাঁড়িতে ডিম ও পানি নাও। ঢাকনা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সিদ্ধ কর।

 

ডিমের ভেজিটেবল কারী

উপকরণ : গাজর, পেঁপে, পটল, বরবটি, চিচিংগা ২ কাপ, ডিম ৪টা, পাঁচফোড়ন গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো হাফ চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো হাফ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো হাফ চা চামচ, আদা ও রসুন বাটা হাফ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৮/৯ টা, ধনে পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল হাফ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন : সবজিগুলো ও ডিম সেদ্ধ করে নিন। কড়াইতে তেল দিন, পেঁয়াজ কুচি দিন কিছুক্ষণ ভেজে গুঁড়ো মসলা ও বাটা মসলাগুলো দিয়ে দিন। কষানো হলে সবজিগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ কষান। এবার সিদ্ধ ডিমগুলো এক একটাকে চার ভাগ করে সবজির উপর ছড়িয়ে দিন তার সাথে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।


নরম সিদ্ধ ডিম

নরম সিদ্ধ ডিম

ডিম৪ টিপানি৫ কাপ

১। হাঁড়িতে ডিম ও পানি দিয়ে ঢেকে ৩ মিনিট ফুটাও। চুলা থেকে নামিয়ে ফুটানো পানিতে ডিম ৫-৭ মিনিট রাখ।


ডিম চপ

ডিম চপ
উপকরণ: সেদ্ধ ডিম ৫টি, সেদ্ধ আলু ৫টি মাঝারি, গরম মসলা গুঁড়ো এক টেবিল-চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ২ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ, ফেটানো ডিম ২টি, টোস্টের গুঁড়ো ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য যতটুকু লাগে।
প্রণালি: সেদ্ধ ডিম ও তেল ছাড়া বাকি উপকরণ দিয়ে একটি মণ্ড তৈরি করতে হবে। এবং পাঁচ ভাগে ভাগ করে নিন। তার মাঝখানে সেদ্ধ ডিম দিয়ে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। এরপর টোস্টের গুঁড়ো মেখে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। সস দিয়ে পরিবেশন করুন।


ডিম লাচ্ছা সেমাইয়ের জাফরানি জরদা

উপকরণ: বড় ডিম ৪টা, লাচ্ছা সেমাই ২৫০ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, ঘি আধা কাপ, জাফরান ১ চা চামচ, গোলাপজল ১ টেঃ চামচ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কিসমিস ২ টেঃ চামচ, পেস্তাবাদাম কুচি ২ টেঃ চামচ, পানি ১ টেঃ চামচ।
প্রণালী: পানি, গোলাপজল ও জাফরান মিশিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটিয়ে কনডেন্সড মিল্ক, এলাচ গুঁড়া, জাফরান মিশ্রিত গোলাপজল মিশিয়ে রাখতে হবে। লাচ্ছা সেমাই হাতে ভেঙে ঘি দিয়ে মাঝারি জ্বালে কিছুক্ষণ ভেজে ডিমের মিশ্রণ ওপর থেকে ঢালতে হবে, আর অনবরত নাড়তে হবে। ঝরঝরা হলে কিসমিস, পেস্তাবাদাম কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।


ডিমের পাতুরী

উপকরণ : ডিম ৬টা, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, সাদা সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্তা দানা বাটা ১ চা চামচ, দুধ হাফ কাপ, দই চারভাগের এক কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মসলার গুঁড়ো হাফ চা চামচ, তেজপাতা ২ টা, কাঁচা মরিচ ৫/৬টা, গোল মরিচ গুঁড়ো হাফ চা চামচ, তেল ১ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন : তেল দিন প্যানে। তেল গরম হলে পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজটা কিছুক্ষণ ভেজে নিন। এরপর বাটা ও গুঁড়ো মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে দুধ দই দিয়ে আবার কষিয়ে নিন। ডিম দিয়ে দিন সেই সাথে কাঁচা মরিচ ও গরম মসলার গুড়ো দিয়ে ৫ মিনিট ঢাকনা সহকারে রান্না করুন। তেল উপরে উঠে আসলে নামিয়ে ফেলুন।


ডিম সেমাইর জর্দা

উপকরণ:
ডিম ৮টি, দারচিনি ৪ টুকরা, ঘন দুধ ৪ কাপ, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, সেমাই ১/২ কেজি, জাফরান ইচ্ছা, ঘি ১ কাপ, চিনি ১ কেজি, এলাচ ৮টি, লেমন ইয়েলো কালার ১/৪ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী:
১। ডিম ফেটে দুধ মিশান। গোলাপজলে জাফরান মিশান।
২। সেমাই টুকরা করুন। ঘিয়ে মসলা দিয়ে সেমাই ভাজুন।
৩। সেমাই ভালোভাবে ভাজা হলে মিশানো দুধ-ডিম দিন। জ্বাল কমিয়ে ধীরে ধীরে সেমাই নিচের থেকে উপরে তুলে নাড়তে হবে। দুধ ডিমের মিশ্রণে সেমাই মিশে সামান্য নরম হলে অল্প পানিতে গুলানো রং দিন। কিসমিস দিন। নেড়েচেড়ে ঢাকানা দিয়ে মৃদু জ্বালে ১৫-২০ মিনিট দমে রাখুন।
৪। সেমাই সিদ্ধ হলে চিনি দু তিনবার দিয়ে নাড়ুন। চিনি মিশে গেলে মৃদু আঁচে দমে রাখুন। সেমাই ঝরঝরে হলে নামান।


এগ রোস্ট

উপকরণ : ডিম ৬টা, টক দই হাফ কাপ, মিষ্টি দই ৩ টেবিল চামচ, জয়ফল ও জয়ত্রী ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা হাফ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা হাফ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা বাটা হাফ কাপ, ধনে গুঁড়ো হাফ চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৮-১০ টা, লবণ পরিমাণমত, পানি ২ কাপ, জর্দা রঙ পরিমাণ মত।
যেভাবে তৈরি করবেন : ডিম সেদ্ধ করে একটু জর্দার রঙ লাগিয়ে তেল ভাজুন। চুলায় যে পাত্রটায় রান্না করবেন সেটা বসিয়ে দিন। তেল দিন, এবার একে একে বাটা মসলাগুলো দিয়ে মসলাটা কষিয়ে নিন। এবার টক দই দিন মিষ্টি দই দিন পানি নিয়ে ভাল করে কষিয়ে ডিম দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন ঢাকনা দিয়ে। কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করুন কিছুক্ষণ। মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলুন।


ডিমপোস্ত

উপকরণ: চারটি ডিম, টক দই ৬-৭ চামচ, ছোট এলাচ ৪-৫টি,  কাঁচালঙ্কা দিয়ে পরিমাণ মতো পোস্ত বাটা, চার চামচ বাদাম তেল, সামান্য চিনি, পরিমাণ মতো নুন।
রান্না: উপকরণগুলো হাতের কাছে নিয়ে প্রথমে ডিমগুলি সিদ্ধ করে নিন। এ বার খোসা ছাড়ানো ডিমগুলির গা কেটে কেটে দিন। কড়াইয়ের তেলে ছোট এলাচ ফোড়ন দিয়ে ডিমগুলিকে ছাড়ুন। লাল করে ভাজা ডিমগুলির মধ্যে টক দই, পোস্ত বাটা, নুন ও মিষ্টি দিয়ে ফোটাতে থাকুন। মাখা মাখা হলে ডিমের কাটা কাটা অংশে পোস্ত বাটা ঢুকে যাবে। এ বার একটি পাত্রে নামিয়ে নিন। ডিমগুলির ওপর কয়েকটি কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে পরিবেশন করুন।


কাটা পেঁয়াজে ডিম

উপকরণঃ ডিম ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, দারুচিনি ১ টুকরো, এলাচ ২টি, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, লবণ স্বাদমতো, তেল ৩ টেবিল চামচ, পানি ১ কাপ।
প্রণালীঃ প্রথমে ডুবো পানিতে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে তাতে ডিম সেদ্ধ করুন। ডিম সেদ্ধ হলে পরিষ্কার করে সামান্য লবণ দিয়ে তেলে ভেজে তুলে রাখুন। এবার একে একে পেঁয়াজ, রসুন, দারুচিনি, এলাচ, মরিচ ও হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য পানি দিয়ে কষে নিন। ভালো করে কষানো হলে ১ কাপ পানি দিন। ডিম ও লবণ দিন। ঝোল ঘন হলে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।


মাছের ডিম-শাপলার তরকারি

উপকরণঃ শাপলা ২ কাপ, রুই বা ইলিশ মাছের ডিম ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৪টি, আদা বাটা দেড় চা চামচ, রসুন বাটা দেড় চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল দুধ ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি সামান্য, তেল ৫০০ মিলিলিটার।
প্রণালীঃ রুই অথবা ইলিশ মাছের ডিমের সঙ্গে আধাকাপ পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, আধা চা চামচ রসুন বাটা, আধা চা চামচ আদা বাটা, লবণ দিয়ে মাখিয়ে বড়া বানিয়ে ডুবোতেলে ভাজতে হবে। এবার কড়াইতে ৪ টে· চামচ তেল দেওয়ার পর বাকি পেঁয়াজ দিয়ে একটু লাল হলে বাকি মসলা দিয়ে কষানোর পর শাপলা দিয়ে কষাতে হবে। এবার নারকেলের দুধ দিতে হবে। বলক উঠলে মাছের বড়া দিয়ে মাখা মাখা হলে চিনি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।


ডিমের ডেভিল

উপকরণ : ডিম ৪টা, সেদ্ধ আলু ২টা, কিসমিস কুচি ১ টেবিল চামচ, বিস্কুটের গুঁড়ো ১ কাপ, ডিম ১টা, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ভাজা মসলা ১ চা চামচ, গরম মসলার গুঁড়ো হাফ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণ মত।
যেভাবে তৈরি করবেন : ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে মাঝখানে থেকে দু’ভাগ করে কেটে নিন। কুসুম বের করে নিন। আলু সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ আলু চটকিয়ে তার সাথে ডিমের কুসুম ভাজা মসলার গুঁড়ো, গরম মসলার গুঁড়ো, টেস্টিং সল্ট, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা ও লবণ মিশিয়ে স্টাফিং তৈরি করুন। এরপর গেল বল তৈরি করে ডিমের মাঝখানে দিয়ে সাদা অংশটি লাগিয়ে টুথপিক দিয়ে আটকিয়ে দিবেন। এবার বাকী আলুর স্টাফিং ডিমের উপর প্রলেপ দিন। এবার ডিম ব্রাশ করে বিস্কুটের গুঁড়োয় গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজুন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


ডিমের হালুয়া

উপকরণ:
ডিম ৪টি, চিনি ৩/৪ কাপ, দুধ, ঘন ১/২ কাপ, ঘি ১/২ কাপ, এলাচ ২টি, দারচিনি ২ সেমি, ২ টুকরো, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, জাফরান (ইচ্ছা) সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালী:
১। গোলাপজলে জাফরান আধঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
২। ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটে নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশান।
৩। মৃদু আঁচে চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। খুব সাবধানে নাড়তে হবে যেন তলায়না লাগে। ডিম জমাট বেঁধে মিহিদানার মতো হবে। পানি শুকিয়ে ঘি বের হলেই নামিয়ে নাড়ুন। বেশি ভাজলে হালুয়া শক্ত হয়ে যাবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে উপরে মাওয়া বা পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে সাজান যায়।


ডিমের নোনা পুডিং

উপকরণ: ডিম, ভেজিটেবল, আলু, ফুলকপি, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ।
যেভাবে বানাবেন: লবণ দিয়ে পুডিং বানিয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করুন। এতে পেঁয়াজ কুচি, গরম মসলা, আদা বাটা, রসুন, ধনে, জিরা গুঁড়া ও হলুদ দিয়ে কষাতে হবে। তেলে সব সবজি ভেজে নিতে হবে। ভাজা সবজি কষাতে দিন। এর মধ্যে পুডিং কিউব করে কেটে কষানো সবজির মধ্যে ঢেলে দিন। এক মিনিট রাখুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।



আলু ডিম ভর্তা


সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৮, ২০০৮

 উপকরণ
  1. ডিম ২টি,
  2. আলু ১টি (মাঝারি সাইজের),
  3. কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ,
  4. পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,
  5. ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ,
  6. লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী
  1. আলু এবং ডিম সেদ্ধ করে নিন।
  2. খোসা ছাড়িয়ে আলু এবং ডিম আলাদাভাবে চটকে নিন।
  3. এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ এবং আধা চা চামচ সরিষার তেল দিয়ে ডিম ও আলু ভালোভাবে মেখে ভর্তা তৈরি করুন।

প্রণালীঃ প্রথমে তেলের মধ্যে তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ দিতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে সব বাটা মসলা দিতে হবে। ভালো করে মসলা ভুনে সেদ্ধ ডিম দিতে হবে। মসলায় ডিম দেওয়ার আগে ডিমের গা চিরে হলুদ-লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার সামান্য গরম পানি দিয়ে কাঁচা মরিচ ও চিনি দিয়ে দমে দিতে হবে আধা ঘণ্টা।


ডিম আর টোম্যাটোর স্যান্ডউইচ

উপকরণ:
ডিম সিদ্ধ করে কুচোনো – ১টা
মিহি করে কুচোনো পেঁয়াজ – ১টা
পাঁউরুটির স্লাইস – ৪টে
রাই সরষের গুঁড়ো – সামান্য
মাখন – সামান্য
টোম্যাটো সস – ৩ চামচ
গোলমরিচের গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
লবন – আন্দাজমতো
প্রণালীঃ
প্রথমে পাঁউরুটির স্লাইসগুলিতে মাখন মাখিয়ে নিন। ধারের শক্ত অংশ কেটে বাদ দিয়ে দিন।
এবার কুচোনো ডিম, পেঁয়াজ, গোলমরিচ, নুন, টোম্যাটো সস, সরষের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
মাখন মাখানো পাঁউরুটির মধ্যে মাখানো ডিমটা দিন। এবার তিনকোনা করে কেটে নিন।
পুর দেওয়ার সময় সব জায়গায় যেন তা ঠিকঠাক পরে তা খেয়াল রাখতে হবে।


ডিম-কচু ভাজি

উপকরণঃ
  1. কচু একটু মোটা কুচি ২৫০ গ্রাম,
  2. ডিম ২টি,
  3. পেঁয়াজ কুচি ২টি (বড়),
  4. কাঁচা মরিচ ১ টেবিল চামচ,
  5. হলুদ গুঁড়া সামান্য,
  6. লবণ আন্দাজমতো,
  7. সরিষার তেল আধা কাপ।
প্রণালীঃ
  1. কচু কুচি একটু হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
  2. এবার চুলায় প্যানে তেল দিতে হবে।
  3. গরম হলে পেঁয়াজ দিয়ে ফালি করা কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
  4. ডিম ফাটিয়ে প্যানে দিয়ে ভেঙে নিতে হবে।
  5. তারপর কচু দিয়ে ভাজতে হবে।
  6. ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন।

ডিম ভুনা

উপকরণঃ সেদ্ধ ডিম ৮টা, পেঁয়াজ মোটা করে কাটা ২ কাপ, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, তেজপাতা ২টা, লবণ ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টা, তেল আধা কাপ, জিরা বাটা।
প্রণালীঃ প্রথমে তেলের মধ্যে তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ দিতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে সব বাটা মসলা দিতে হবে। ভালো করে মসলা ভুনে সেদ্ধ ডিম দিতে হবে। মসলায় ডিম দেওয়ার আগে ডিমের গা চিরে হলুদ-লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার সামান্য গরম পানি দিয়ে কাঁচা মরিচ ও চিনি দিয়ে দমে দিতে হবে আধা ঘণ্টা।


মাছের ডিম ভূনা

উপকরণঃ
  1. যেকোন মাছের ডিম
প্রণালীঃ
  1. কড়াইতে পরিমান মত তেল গরম করে তাতে কয়েকটি জিরার দানা ছেড়ে দিন
  2. গরম তেলে বাগার দেয়ার মত করে একটু ভাজুন
  3. জিরার দানা সামান্য ভাজা হলে, পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে, খেয়াল রাখবেন জিরার দানা যেন পুড়ে না যায়।
  4. নাড়তে থাকুন…
  5. পেঁয়াজ বাদামী রঙ ধারণ করলে আদা, রসুন বাটা/কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন
  6. সামান্য হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিন
  7. স্বাদমত লবন দিন
  8. অল্প আচে নাড়তে থাকুন,
  9. মশলা দেয়ার পর সামান্য পানি দিতে পারেন, এতে মশলা পুড়বে না
  10. মশলা একটু কষানো হলে, মাছের ডিম ছেড়ে দিন তাতে
  11. নাড়তে থাকুন হালকা আচে (কম আগুনে)
  12. একটু হয়ে আসলে –
    নামানোর ৪/৫ মিনিট আগে- কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি করে কেটে দিতে হবে, ঘ্রাণটা ভাল হবে
  13. অন্য একটি কড়াইতে টমেটো কিউব করে কেটে তেলে হাল্কা ভেজে নিতে হবে আলাদা ভাবে
  14. নামানোর আগে –
    কিউব করা ভাজা টমেটো, সামান্য জিরার গুঁড়া, কাচা মরিচ (নামানোর আগে একবারই দিতে হবে) এবং একটু লেবুর রস দিতে হবে…
    সম্ভব হলে কাঁচা ধনে পাতা কুচি করে দিতে পারেন, কিংবা পরিবেশন করার আগে দিতে পারেন।
  15. হয়ে গেল…এইবার স্লাইস করা টমেটো আর ধইন্যা পাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চিজ ওমলেট

উপকরণঃ
  1. ডিম — ৩টে
  2. ময়দা — ৪ টেবল চামচ
  3. বেকিং পাউডার — ১/২ চা চামচ
  4. কোরানো  চিজ — ১০০ গ্রাম
  5. বাটা পেঁয়াজ — ১ টেবল চামচ
  6. নুন, গোলমরিচ — স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালীঃ
  1. ডিম হালকা ফেটিয়ে নিন।
  2. ময়দা ডিমের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে বাকি সব উপকরণ ভাল  করে মিলিয়ে নিন।
  3. তেল গরম হলে মিশ্রণ থেকে চামচ করে তুলে ভেজে নিন বাদামী করে।
  4. টোম্যাটো সস্‌  এর সঙ্গে পরিবেশন করুন। 

ডিমের হালুয়া

উপকরণঃ
  1. ডিম – ৩টে
  2. খোয়া – ২৫০ গ্রাম
  3. চিনির রস – ২৫০ গ্রাম
  4. বাদাম বাটা –  ২৫ গ্রাম
  5. ঘি – ২ বড় চামচ
  6. ছোট এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
  7.  জাফরান – ৩/৪ কলি  
প্রণালীঃ
  1. খোয়ার সঙ্গে বাদাম বাটা, চিনির রস, জাফরান, এলাচ গুঁড়ো মেশান।
  2. এবার তার সঙ্গে  ডিম ফেটিয়ে নিয়ে মেশান।
  3. ঘি গলিয়ে মিশ্রণে ভাল করে মেশান।
  4. বেক করার পাত্রে ভাল করে মাখন  অথবা ঘি মাখিয়ে নিন।
  5. মিশ্রনটি তাতে দিয়ে বাদামি রং না হওয়া পর্যন্ত বেক করুন।

ডিম চিংড়ি

উপকরণঃ
  1. ডিম – ৬টা
  2. ছোট সাইজের চিংড়ি – ২৫০ গ্রাম
  3. পেঁয়াজ মাঝারি সাইজের – ২ টো
  4. কুচোনো কাঁচালঙ্কা – ২/৩ টা
  5. কুচোনো মাখন – ৫০ গ্রাম
  6. বেকিং পাউডার – ১ চিমটে
  7. টমেটো – ১ টা
  8. কুচোনো ময়দা – ২ টেবিল চামচ
  9. নুন, মরিচ – স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালীঃ
  1. মাথা, খোসা বাদ দিয়ে চিংড়িগুলি ছোটো ছোটো করে কেটে নিন।
  2. ডিম ফেটিয়ে নিন।
  3. ফেটানো ডিমের সাথে ময়দা, মাখন, বেকিং পাউডার অন্যান্য সব উপকরণ মিশিয়ে নিন।
  4. পাত্রে মাখন অথবা তেল মাখিয়ে মিশ্রণটা দিয়ে ১০/১২ মিনিট বেক করুন।
  5. ডিমটা জমে একটু বাদামি রঙ ধরলেই ডিম চিংড়ি তৈরি। 

ডিমের পাকোড়া

উপকরণঃ
  1. ডিম – ৩টে
  2. পেঁয়াজ কুচোনো – ২টে
  3. কাঁচা লঙ্কা – ২টো কুচোনো
  4. গরম মশলা গুঁড়ো –  ১/২ চামচ
  5. ধনে পাতা কুচোনো – আন্দাজমতো
  6. নুন – আন্দাজমতো
  7. বেকিং পাউডার – ১/৪ চা চামচ 
  8. ভাজার জন্য তেল
  9. বেসন – ১ কাপ
  10. আদা বাটা – ১/২ চা চামচ   
প্রণালীঃ
  1. ডিম হালকা করে ফেটিয়ে নিন।
  2. এতে সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন।
  3. ছাঁকা তেলে  পাকোড়া ভেজে তুলুন।
  4. টম্যাটো সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

কম চর্বিযুক্ত ডিম

উপকরণঃ ডিমের সাদা অংশ ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ আধা চা চামচ (বিচি ছাড়া), টমেটো কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি আধা চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালীঃ ২টি ডিমের কুসুম থেকে সাদা অংশ আলাদা করে নিন। কাঁটা চামচ দিয়ে ফেটে (বিট করে) বাকি উপকরণ সঙ্গে সঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটি ঢাকনাওয়ালা পাত্রে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বিছিয়ে তার ওপর অথবা শুধুই ঢেলে দিন। একটি প্যানে গরম পানি দিয়ে তার ওপর বাটি বসিয়ে স্টিম করুন ৫ মিনিট।


ডিম টমেটোর কাটলেট

উপকরণঃ
  1. মাখন অথবা সাদা তেল – ২ টেবিল চামচ
  2. ময়দা – ১ টেবিল চামচ
  3. টমেটোর রস – ১কাপ
  4. সিদ্ধ ডিম – ১টা
  5. রুটির গুড়ো – ২ টেবিল চামচ
  6. নুন, গোলমরিচ – স্বাদ অনুযায়ী
  7. দুধ – সামান্য
প্রণালীঃ
  1. মাখন বা তেল গরম হলে তাতে ময়দা দিয়ে ২/১ মিনিট রান্না করুন।
  2. আঁচ থেকে নামিয়ে টোম্যাটোর রস দিন।
  3. এবারে ঢিমে আঁচে চড়িয়ে ক্রমাগত নেড়ে রান্না করুন।
  4. ঘন হলে নামান।
  5. এতে সিদ্ধ ডিমটা ভাল করে ভেঙে নিয়ে মেশান।
  6. রুটির গুঁড়ো মেশান।
  7. নুন, গোলমরিচ দিন।
  8. ঠান্ডা হলে কাটলেটের মতো গড়ে দুধে মাখিয়ে রুটির গুঁড়ো লাগিয়ে ভেজে তুলুন।



ডিম টম

উপকরণঃ
  1. ডিম সিদ্ধ করা – ৪টি
  2. টমেটো লাল ও শক্ত – ৮টি
  3. আলু সিদ্ধ করা – ৪টি
  4. নুন – স্বাদ অনুযায়ী
  5. কাঁচালঙ্কা কুচোনো – ২টি
  6. দুধ – ১/২ কাপ
প্রণালীঃ
  1. ডিম সিদ্ধ, আলু সিদ্ধ একসাথে চটকে মেখে নিন।
  2. টমেটোর বোঁটার দিকটা গোল করে কেটে ফেলে ভেতরটা সাবধানে সাফ করে নিন।
  3. আলু ডিম সিদ্ধ মাখার সাথে দুধ, কাঁচালঙ্কা কুচি নুন মেশান।
  4. প্রতিটা টমেটোর ভেতরে আলু-ডিমের মিশ্রণ ভরুন।
  5. ওভেনে ১৫ মিনিট বেক করুন। অথবা পুর ভরা টমেটোগুলো একটা বাটিতে বসিয়ে প্রেসার কুকারে সামান্য জল দিয়ে তাতে বাটিটা বসিয়ে একটা সিটি দিয়ে নামান।

ডিম পালং বেক

উপকরণঃ
  1. পালং – ৫০০ গ্রাম
  2. মাখন – ২৫ গ্রাম
  3. ডিম – ৪টে
  4. কোরানো চিজ – ৬ টেবিল চামচ
  5. হোয়াইট সস – ১/২ কাপ
  6. ময়দা – ২ টেবিল চামচ
  7. নুন, গোলমরিচ – আন্দাজমতো
  8. সস-এর জন্যে দুধ – প্রয়োজনমতো    
প্রণালীঃ
  1. হোয়াইট সস বানানোর জন্যে সামান্য মাখন বা সাদা তেলে ময়দা সামান্য দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
  2. নুন, গোলমরিচ দিন। আস্তে আস্তে দুধ মেশান।
  3. ঢিমে আঁচে সস তৈরি করবেন।
  4. খেয়াল রাখতে হবে যেন ডেলা না পাকায়।
  5. আঁচ থেকে নামিয়ে কোরানো চিজ মেশান। সস তৈরি।
  6. পালং জলে নুন দিয়ে ১ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
  7. ভাল করে জল ঝরিয়ে কুচিয়ে নিন।
  8. একটা পাত্রে মাখন দিয়ে কুচোনো পালং দিন।
  9. ডিম জলে পোচ করে নিয়ে পালংয়ের ওপরে পাশাপাশি সাজিয়ে দিন।
  10. ওপরে সসটা ঢেলে দিয়ে বেক করুন।































































সরবত

 

জিরাপানি

জিরাপানি
উপকরণ: তেঁতুলের মাড় ৩ টেবিল চামচ, আখের গুড় ৩ টেবিল চামচ, চিনি ৩ টেবিল চামচ, জিরা টালা গুঁড়া ২ চা-চামচ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, পানি ৮ কাপ।
প্রণালি: আখের গুড় ও চিনি ৮ কাপ পানিতে গুলিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। সব উপকরণ মিলিয়ে বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

ফালুদা

উপকরণঃ
ঘন দুধ ৩ গ্লাস, চিনি ৩ টেবিল চামচ একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে।
নুডলস সিদ্ধ প্রয়োজনমতো। ভ্যানিলা আইসক্রিম প্রয়োজনমতো। স্ট্রবেরি বা পেস্তা আইসক্রিম প্রয়োজনমতো। মাওয়া প্রয়োজনমতো (গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, গুঁড়া চিনি ১ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, গোলাপজল আধা চা চামচ-সব একসঙ্গে মিশিয়ে মাওয়া বানাতে হবে। জেলো জমানো ২ রকম (প্যাকেটের নির্দেশমতো) আঙ্গুর কুচি, কলা টুকরো স্বাদমতো। বরফকুচি স্বাদমতো।
প্রণালীঃ
 লম্বা গ্লাসে প্রথমে নুডলস, স্ট্রবেরি বা পেস্তা আইসক্রিম, লাল জেলো, নুডলস, ভ্যানিলা আইসক্রিম, ম্যাঙ্গো জেলো, কলা, আঙ্গুর ওপর থেকে ঘনদুধ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

পেয়ারার সরবত

পেয়ারার সরবত
পাকা পেয়ারাপানি
চিনি
৪ টি৮ কাপ
১ কাপ
লেবুর রসঅথবা
সাইট্রিক এসিড
১ টে.চা.
চা. চা.
১। পেয়ারা ধুয়ে টুকরা কর। ৮ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে সিদ্ধ কর। সিদ্ধ করার সময় পেয়ারা নাড়বে না।
২। পেয়ারা খুব নরম হলে উনুন থেকে নামাও। মিহি কাপড়ে পেয়ারা ছেঁকে খুব সাবধানে নিংড়ে রস নাও।
৩। চিনি মিশিয়ে রস চুলায় দাও। ফুটে উঠলে সাইট্রিক এসিড বা লেবুর রস দাও। সিরাপ ঘন হলে নামাও।
৪। পেয়ারার সিরাপে ৩ কাপ পানি মিশিয়ে রেফ্রিজারেটারে রাখ।
৫। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন কর।

টমেটো পানীয়

টমেটো পানীয়
টমেটোপানি
তেজপাতা
১ কেজি৪ কাপ
১ টি
লবঙ্গচিনি
লবণ
৪ টি২ চা.চা.
১ চা.চা.
১। বড় সাইজের টমেটো নাও। টমেটোতে তেল মাখিয়ে ট্রেতে সাজিয়ে রাখ। ওভেনে ১৮০º সেঃ (৩৫০º ফাঃ) তাপে ১ ঘন্টা বেক কর।
২। পানি, তেজপাতা, লবঙ্গ একসাথে ফুটিয়ে নাও।
৩। টমেটো ছেনে নাও। ফুটানো পানি ছেঁকে নাও। টমেটো,পানি,লবণ ও চিনি একসঙ্গে মিশাও। রেফ্রিজারেটরে রাখ। পরিবেশন কর।

কামরাঙ্গার সরবত

কামরাঙ্গার সরবত
কামরাঙ্গাচিনি৪-৫ টি১/২ কাপলবণপানি১ চা.চা.১ কাপ
১। কামরাঙ্গা ছোট বড় হতে পারে,কাঁচা বা পাকা হতে পারে। সে অনুযায়ী সরবতে পানি,চিনি,লবণের পরিমাণ নিজের রুচিমতো দিতে হবে। সে অনুযায়ী সরবতে পানি,চিনি,লবণের পরিমাণ নিজের রুচিমতো দিতে হবে ।
২। কামরাঙ্গা ধুয়ে বীচি ও শক্ত অংশ ফেলে ছোট টুকরা কর।
৩। ব্লেন্ডারে কামরাঙ্গা ও ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ড কর।
৪। ছাকনী দিয়ে ছেঁকে নিয়ে লবণ ও চিনি মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখ।

টমেটো জুস

টমেটো জুস
টমেটো ,বড়পানি
তেজপাতা
পেঁয়াজ,কুচি
১ কেজি২ কাপ
২ টি
২ টি
লবঙ্গচিনি
লবণ
৬ টি২ চা.চা.
২ চা.চা.
১। টমেটো ধুয়ে টুকরা কর। টমেটোতে পানি,তেজপাতা,পেঁয়াজ ও লবঙ্গ দিয়ে ঢেকে উনুনে দাও। টমেটো ভালভাবে সিদ্ধ হলে ছেনে নাও।
২। টমেটোতে লবণ,চিনি এবং আর ও ৪ কাপ পানি মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখ।
৩। ঠান্ডা জুস গ্লাসে নিয়ে উপরে পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে পরিবেশন কর।


আনারসের খোসার সরবত

আনারসের খোসার সরবত
আনারসের খোসালেবুর রস ১ টে.চা.চিনিবরফ,কুচি৪ টে.চা.
১। সরস এবং পাকা (খোসার রং হলুদ হবে)একটি আনারসের খোসা ভাল করে ধুয়ে ডুবো পানিতে সিদ্ধ দাও। কয়েকবার ফুটে উঠার পরে আনারসের সুগন্ধ বের হলে উনুন থেকে নামিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে রস ছেঁকে নাও। ঠান্ডা কর।
২। রস ঠান্ডা হলে চিনি মিশাও। একগ্লাস না ভরলে অল্প পানি মিশাতে পার। লেবুর রস ও বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন কর।

আনারসের সরবত

আনারসের সরবত
অনারসের রসঠান্ডা পানি১ কাপ১ কাপসিরাপ বা চিনিলেবুর রস১/৪ কাপ১ টে. চা.
১। আনারস লম্বায় দু’টুকরা কর। চামচ দিয়ে আনারস কুরিয়ে নাও। ২ টে.চামচ চিনি মিশিয়ে  ঘন্টা রাখ। মোটা চালনিতে রস ছেঁকে নাও।
২। পানি,সিরাপ,আনারসের রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশাও। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন কর। সরবতে সামান্য লবণ দেয়া যায়।

দুধের সরবত

দুধের সরবত
দুধঠান্ডা পানি
সিরাপ বা চিনি
২ কাপ২ কাপ
১/২ কাপ
পেস্তাবাদাম,কুচিগোলাপ জল
লেমন কালার বা জাফরান
১ টে. চা.১ টে. চা.
১। দুধ জ্বাল দাও। ফুটে উঠলে মাঝে মাঝে নাড়। দুধ ঘন হয়ে এক কাপ হলে নামিয়ে ঠান্ডা কর। দুধে ঠান্ডা পানি,সিরাপ ও রং মিশিয়ে ছেঁকে নাও।
২। গোলাপ জল,পেস্তাবাদাম,জাফরাণ ও বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন কর।

তরমুজের সরবত

তরমুজের সরবত
তরমুজলেবুস রস১ টিচিনি২-৩
১। তরমুজ কেটে বীচি ফেলে। কুচি কুচি করে কেটে চিনি দিয়ে ৩-৪ ঘন্টা ঢেকে রাখ। কাটার সময় রস যেন পড়ে না যায়। প্রতি গ্লাস তরমুজের সরবতে ২ চা চামচ হিসাবে লেবুর রস মিশাও।
২। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন কর।

বাঙ্গীর সরবত

বাঙ্গীর সরবত
বাঙ্গীচিনি১ কাপ৪ টে.চা.লেবুর রসবরফকুচি১ টে.চা.
১। পাকা বাঙ্গী কুচি কুচি টুকরা করে এক কাপ নাও। বড় একটি বাটিতে বাঙ্গীর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঢেকে রাখ।
২। লেবুর রস ও বরফকুচি মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ রাখ। বাঙ্গী থেকে পানি বেরিয়ে সরবতের মত হবে। প্রয়োজন মনে করলে অল্প পানি ও চিনি মিশানো যাবে । দুই গ্লাস সরবত হবে।

তোখমার সরবত

তোখমার সরবত
তোখমাচিনি২ চা. চা.১ টে.চা.লেবুর রসগোলাপ জল১ টে. চা.১ টে . চা.
১। তোখমা খুব ভাল করে বেছে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে আধা গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে নেড়ে ২০-২৫ মিনিট ঢেকে রাখ।
২। দেড় গ্লাস ঠান্ডা পানিতে চিনি গুল। লেবুর রস মিশাও। তোখমা ও গোলাপজল মিশাও।
৩। সরবত নেড়ে নেড়ে দুই গ্লাসে নাও যেন প্রত্যেক গ্লাসে তোখমা সসান সমান থাকে। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন কর।

ম্যাংগো ফুল

ম্যাংগো ফুল
কাঁচা আমসিরাপ বা চিনি
১। খোসাসহ আম সিদ্ধ কর বা ঝলসে নাও। খোসা ও বীচি ফেলে আম খুব মিহি করে ছেনে নাও। আমের পরিমাণে চিনি ও পানি মিশিয়ে সরবত তৈরি কর। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন কর।

বেলের সরবত

বেলের সরবত
পাকা বেলঠান্ডা পানি
সিরাপ বা চিনি
১ টি৩ কাপ
কাপ
দুধ বা দইগোলাপ জল (ইচ্ছা)
বরফকুচি
কাপ১ টে. চা.
১। বেলের আঠা ও বীচি ফেলে ১ কাপ পানিতে ভিজাও। মোটা চালনিতে চেলে নাও।
২। চালবার পর ৩ কাপ বেল হলে ৩ কাপ পানি ও ১ কাপ সিরাপ মিশাও । বেশি ঘন হলে আর ও পানি মিশাবে।
৩। দই ফেটে নাও। দই বা দুধ মিশাও।
৪। গোলাপ জল মিশিয়ে ও বরফ দিয়ে পরিবেশন কর। অনেকে দুধ ও গোলাপ জল বাদ দিয়ে শুধু বেলের সরবত পছন্দ করেন।

জামের সরবত

জামের সরবত
পাকা জামসিরাপ বা চিনি২ কাপ১/৪ কাপঠান্ডা পানিলেবুর রস২ কাপ১ টে. চা.
১। জাম ধুয়ে চটকে রস বের কর। রস মিহি কাপড়ে ছেঁকে নাও।
২। জামের রসে পানি,সিরাপ,লেবুর রস ও বরফকুচি মিশিয়ে পরিবেশন কর।

শরবতে প্রাণ

বরফভাসা এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত। এই গরমে প্রাণ জুড়াতে আর কী চাই! নাসরিন আলম দিয়েছেন কয়েক রকম শরবত তৈরির প্রণালি।
অড়বরইয়ের শরবত
উপকরণ: অড়বরই ২ কাপ, বিচি ফেলে নেওয়া কমলা বা মালটার রস ১ কাপ, পুদিনাপাতা ৪-৫টা, লবণ স্বাদমতো, বরফ পরিমাণমতো, ঠান্ডা পানি ৩ কাপ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: সব ব্লেন্ড করে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
কামরাঙার শরবত
উপকরণ: কামরাঙা ৪টি, ঠান্ডা পানি দেড় কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, লেবুপাতা ২-৩টা, পুদিনাপাতা ৫-৬টা, চিনি ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, বিচি ফেলে দেওয়া কাঁচা মরিচ অর্ধেক।
প্রণালি: ব্লেন্ডারের জগে এসব উপকরণ ভালো করে ব্লেল্ড করে ছেঁকে রস বের করে নিতে হবে। গ্লাসে বরফ নিয়ে ওপর থেকে জুস দিয়ে পরিবেশন করুন। গরমের ক্লান্তি দূর হবে।
কাঁচা আমের শরবত
উপকরণ: কাঁচা আম ২টা, লেবুর পাতা ২-৩টা, চিনি ১ কাপ, ঠান্ডা পানি ৩ কাপ, লবণ ১ চিমটি, বিটলবণ ১ চা-চামচ, বিচি ফেলে দেওয়া কাঁচা মরিচ ৬টা।
প্রণালি: আম ছিলে পাতলা কাপড়ের ওপর মিহি গ্রেট করে নিতে হবে। সঙ্গে লেবুপাতা, কাঁচা মরিচও গ্রেট করে নিতে হবে। এখন কাপড় চিপে রস বের করে নিন। ব্লেন্ডারের জগে আমের রস, পানি, চিনি, লবণ ও বিটলবণ দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
তরমুজের শরবত
উপকরণ: বিচি ফেলে নেওয়া টুকরা করা তরমুজ ৪ কাপ, পুদিনাপাতা ৩-৪টা, লেবুর রস আধা কাপ। লেবুপাতা ২টা, লবণ ১ চিমটি, বরফ কয়েক টুকরা।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেল্ড করে ছেঁকে পরিবেশন করুন।

কাঁচা আমের স্কোয়াস

কাঁচা আমের স্কোয়াস
কাঁচা আমঠান্ডা পানি৪ টি৩ কাপসিরাপ বা চিনিসবুজ রং সামান্য১ কাপ
১। কাঁচা আম খোসা ছাড়িয়ে স্লাইস কর। আম ছেঁকে রস ছেঁকে নাও। পানি ও সিরাপ মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখ। অথবা,আম সবজি কুরুনিতে কুরিয়ে তারপর পানি মিশিয়ে চিপে রস নেয়া যায়।
২। পরিবেশনের আগে সামান্য রং মিশাও। বরফ দিয়ে পরিবেশন কর।

তেঁতুলের সরবত

তেঁতুলের সরবত
পাকা তেঁতুলআখের গুড়১/৪ কাপ১ কাপঠান্ডা পানি৩ কাপ
১। আধা কাপ পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে মোটা চালনিতে ছেনে নাও।
২। দেড়কাপ পানিতে গুড় গুলে মিহি কাপড় দিয়ে ছাঁক।
৩। গুড় ও তেঁতুল এক সঙ্গে মিশাও। বাকি পানি দাও।

বাতাবি লেবুর সরবত

বাতাবি লেবুর সরবত
বাতাবি লেবুর রসঠান্ডা পানি ১/২ কাপ১/৪ কাপসিরাপ বা চিনিবরফকুচি২ টে. চা.
১। জাম্বুরা বা বাতাবি লেবুর রস মিহি কাপড়ে ছেঁকে নাও। ব্লেন্ডারে রস নেওয়া যায়।
২। পানি ও সিরাপ মিশাও। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন কর।


পেঁপের শরবত

পেঁপের শরবত
উপকরণ : পাকা পেঁপে ১টি মাঝারি সাইজের, পাকা খেঁজুর ২-৫টি, চিনি পরিমাণমত, দুধ পরিমাণ মত, পানি পরিমাণমত।
প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে একটি বাটিতে দুধ ও চিনি আগেই প্রায় ৫ মিনিট গলিয়ে রাখতে হবে। তারপর অন্য একটি বাটিতে পাকা পেঁপে ছিলে ছোট ছোট টুকরো করতে হবে এবং পাকা খেঁজুরও কেটে ছোট ছোট টুকরো করতে হবে। এখন একটি ব্লেন্ডারে একে একে আগে থেকে গলানো দুধ ও চিনি, পেঁপে ও খেঁজুর কাটা এবং অল্প পানি দিয়ে প্রায় ৫ মিনিট ব্লেন্ড করতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মজাদার ও স্বাস্থ্যকর পানীয় পাকা পেঁপের শরবৎ। ইচ্ছা করলে কেউ এটি বরফের কুচি দিয়েও খেতে পারেন।
পরিবেশন প্রক্রিয়া : কয়েকটি গ্লাসে ঢেলে উপরে ছোট ছোট মিহি করে কাটা খেজুর দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

দই শরবত

দই শরবত
উপকরণ: দই আধা কেজি (পাতলা কাপড়ে ঝুলিয়ে পানি ঝরানো), কলা অথবা পেঁপে ১ কাপ, বরফকুচি আধা কাপ, দুধ আধা কাপ, রুহআফজা ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চা-চামচ।
প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে ব্ল্লেন্ডার মেশিনে মিলিয়ে নিন।

আম-তেঁতুলের শরবত

আম-তেঁতুলের শরবত
উপকরণ: আম কুচি ১ কাপ, তেঁতুলের ক্বাথ ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ১টি, চিনি ২ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য।
প্রণালি: সব একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। ওপরে বরফ কুচি, পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।

লেমোনেড

লেমোনেড
সিরাপের উপকরণ: পানি ৩ কাপ, চিনি ৪ কাপ, শরবতি লেবুর রস ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চিনি-পানি জ্বাল দিয়ে ফুটে উঠলে লেবুর রস দিয়ে অল্পক্ষণ চুলায় রেখে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার পাত্রে রেখে দিতে হবে। যেকোনো পানীয় তৈরিতে এই সিরাপ ব্যবহার করা যাবে।
১ গ্লাস লেমোনেডের উপকরণ: সিরাপ আধা কাপ, ঠান্ডা সোডার পানি পরিমাণমতো, লেবুর খোসার কুচি সিকি চা-চামচ, চেরিকুচি আধা চা-চামচ।
প্রণালি: সিরাপ ডিপ ফ্রিজে রেখে জমিয়ে গুঁড়া করে গ্লাসে রেখে চেরি ও লেবুর খোসার কুচি দিয়ে রাখুন। এবার এর ওপর থেকে সোডার পানি ঢালতে হবে। স্ট্র দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।

গাজরের শরবত

গাজরের শরবত
উপকরণ : গাজর টুকরো ৫০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, পানি ৫০০ মিলি লিটার, বাদাম গুঁড়ো সামান্য।
প্রণালী : গাজর ভাল করে ধুয়ে উপরের সবুজ অংশ ও খোসা ছাড়িয়ে নিন। ভেতরের শক্ত অংশ ফেলে দিয়ে কুচি করে কেটে নিন। ব্লেন্ডারে গাজর পানি ও চিনি একসাথে দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে ছেকে নিন। এর পর গ্লাসে ঢেলে বাদাম গুঁড়ো ও বরফ কুচি দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

তরমুজের ঠান্ডা

উপকরণঃ ঠান্ডা তরমুজের রস ৪ কাপ, পুদিনা পাতার রস ৪ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, চিনির সিরাপ ৪ টেবিল চামচ (প্রয়োজনমতো), বিট লবণ সিকি চা চামচ, বরফ কিউব প্রয়োজনমতো
প্রণালীঃ ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মেশালেই তরমুজের ঠান্ডা তৈরি হয়ে যাবে। গ্লাসে ঢেলে বরফ কিউব দিয়ে পরিবেশন।

আনারসের শরবত

আনারসের শরবত
উপকরণ : আনারস ৫০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, পানি ৫০০ মিলি লিটার, গোলমরিচের গুঁড়ো হাফ চামচ, লেবুর রস হাফ চা চামচ।
উপকরণ : আনারস ভাল করে কেটে ধুয়ে ছোট ছোট করে টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে আনারস, চিনি, গোলমরিচের গুঁড়ো একসাথে দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে ছেকে নিন। এরপর লেবুর রস মিশিয়ে গ্লাসে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।

আদা-লেবুর ঠান্ডা

উপকরণঃ আদার রস ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, চিনির সিরাপ ২ টেবিল চামচ, বরফকুচি আধা কাপ, সোডা পানি প্রয়োজনমতো
প্রণালীঃ গ্লাসে বরফকুচি, চিনির সিরাপ, লেবুর রস ও আদার রস নিয়ে সোডা পানি দিয়ে গ্লাস ভরে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন।

তরমুজের ঠান্ডা

তরমুজের ঠান্ডা
উপকরণ: তরমুজ কুচি ৪ কাপ, বরফ কুচি আধা কাপ, চিনি আধা কাপ।
প্রণালি: তরমুজ কুচি ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ২ ঘণ্টা রেফ্রিজারেটরে রেখে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। ইচ্ছা করলে জাফরান ও গোলাপজল মেশানো যায়।

চিনির সিরাপ

উপকরণঃ পানি ২ কাপ, চিনি ২ কাপ
প্রণালীঃ পানি ও চিনি জ্বাল দিয়ে মাঝারি ঘন করে নামালেই চিনির সিরাপ তৈরি হয়ে যাবে। যেকোনো পানীয় তৈরিতে এই সিরাপ ব্যবহার করা যাবে।

লেবুপানি

লেবুপানি
উপকরণ: শরবতি লেবুর রস আধা কাপ, ঠান্ডা সিরাপ আধা কাপ, বরফকুচি আধা কাপ, লেবুর খোসার কুচি সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: লেবুর রস ও সিরাপ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। একটি গ্লাসের অর্ধেকটা বরফকুচি দিয়ে ভরে ওপর থেকে লেবু-মিশ্রিত সিরাপ ঢেলে লেবুর খোসার কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

আইসক্রিম কমলার পানীয়

আইসক্রিম কমলার পানীয়
উপকরণঃ ঠান্ডা পানি ২ কাপ, কমলার রসের পাউডার ৪ টেবিল চামচ, চকলেট আইসক্রিম ১ কাপ, চিনি রুচিমতো, ঠান্ডা আনারসের রস ২ কাপ, লবণ একচিমটি।
প্রণালীঃ রসের পাউডার, আইসক্রিম, চিনি ও লবণ ব্লেন্ডারে নিয়ে পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে আনারসের রস মেশাতে হবে। এবার গ্লাসে ঢেলে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন।

জামের শরবত

উপকরণ : পাক জাম ২ কাপ, চিনি কোয়ার্টার কাপ, ঠান্ডা পানি ২ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী : জাম ধুয়ে চটকে রস বের করুন। রস মিহি কাপড়ে ছেঁকে নিন। জামের রসে পানি, চিনি, লেবুর রস ও বরফকুচি মিশিযে পরিবেশন করুন।

বাতাবি লেবুর শরবত

প্রণালী: বাতাবি লেবুর রস পাতলা কাপড় দিয়ে ছেকে নিতে হবে। ব্লেন্ডারেও রস করে নেওয়া যায়। পানি ও সিরাপ মেশান।

মধুর রসে পেস্তা বাদামের শরবত

উপকরণঃ ঠান্ডা ঘন দুধ আধা লিটার, পেস্তা কুচি সিকি কাপ, আমন্ড বাদাম কুচি সিকি কাপ, মধু ২ টেবিল চামচ, চিনি ৪ টে· চামচ, বরফ কুচি আধা কাপ।
প্রণালীঃ সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

শিকঞ্জি

শিকঞ্জি
উপকরণঃ পাতিলেবুর রস-১ কাপ, কমলার রস-২ কাপ, পানি-৬ কাপ, চিনি- ১০ টেবিল চামচ, বরফ কুচি-১ কাপ, পেস্তা কুচি-১ টে· চামচ।
প্রণালীঃ চিনি ও পানি গুলিয়ে বাকি উপকরণ এবং বরফ দিয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।

জাফরানি শরবত


উপকরণঃ
  1. দুধ আধা কেজি,
  2. জাফরান আধা চা চামচ,
  3. পেস্তা কুচি আধা টেবিল চামচ,
  4. আমন্ড বাদাম কুচি আধা টেবিল চামচ,
  5. চিনি ৪ টেবিল চামচ,
  6. পেস্তা ও আমন্ড বাটা ১ টেবিল চামচ,
  7. কিশমিশ আধা টেবিল চামচ,
  8. এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ,
  9. গোলাপ পানি আধা চা চামচ।
প্রণালীঃ
  1. দুধ, গোলাপ পানি, জাফরান ও চিনি একসঙ্গে চুলায় দিতে হবে, ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে বাকি উপকরণ মিলিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

আমের শরবত

উপকরণঃ পাকা আমের রস আধা কাপ, চিনির সিরাপ ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, সোডা পানি প্রয়োজনমতো, বরফকুচি আধা কাপ, বিটলবণ ইচ্ছামতো
প্রণালীঃ গ্লাসে বরফকুচি, চিনির সিরাপ, লেবুর রস, আমের রস ও বিটলবণ দিতে হবে। এবার সোডা পানি দিয়ে গ্লাস ভরে পরিবেশন।

টিটোটিলার


উপকরণ : রুহ আফজা চার টেবিল চামচ, লেবুর রস চার টেবিল চামচ, সোডা ওয়াটার তিন-চার বোতল, বরফ কুচি প্রয়োজনমতো।
প্রণালী : লম্বা গ্লাসে প্রথমে বরফ কুচি, এক টেবিল চামচ রুহ আফজা, এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ওপর থেকে খুব ঠান্ডা সোডা ওয়াটার দিয়ে গ্লাসভরে সাজিয়ে পরিবেশন। স্ট্রতে প্রথমে লেবুর একটি চাক, পরে একটি চৈরি গেঁথে পরিবেশন করতে পারেন।

তরমুজের শরবত


তরমুজের শরবত
উপকরণ : তরমুজ ১টি, চিনি ২ কাপ, লেবুর রস প্রয়োজনমতো।
প্রণালী : তরমুজ কেটে বিচি ফেলুন। কুচি কুচি করে কেটে চিনি দিয়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ঢেকে রাখুন। কাটার সময় রস যেন পড়ে না যায়। প্রতি গ্লাস তরমুজের শরবতে ২ চা চামচ হিসেবে লেবুর রস মেশান। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

আঙুরের ঝাল-টক শরবত

উপকরণ : আঙুর ১২০ গ্রাম, পানি ২৬০ মিলিলিটার, টমেটো জুস ২০ মিলিলিটার, চিনি পাঁচ চা চামচ, বরফ চার টুকরো, বিট লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচের গুঁড়া ও জাফরানি পরিমাণমতো।
প্রণালী : ওপরের সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন এবং একটি ছাঁকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিন। এখন এই শরবত সুদৃশ্য গ্লাসে সুন্দর করে পরিবেশন করুন।

বাঙ্গির সরবত

উপকরণঃ
  1. বাঙ্গির রস ১ কাপ,
  2. চিনি ১ টেবিল চামচ,
  3. লেবুর রস ১ চা চামচ,
  4. বরফ কিউব পরিমাণমতো,
  5. লবণ এক চিমটি।
প্রণালীঃ
  1. বাঙ্গি কুচি কুচি টুকরো করুন।
  2. বড় বাটিতে বাঙ্গির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে রেখে দিন বেশ কিছুণ।
  3. লেবুর রস ও বরফ মিশিয়ে রাখুন আরও কিছুক্ষণ।
  4. বাঙ্গি থেকে পানি বের হয়ে শরবত হবে।
  5. এটা ছেকে ঢেলে নিন গ্লাসে।
  6. লবণ মেশান।
  7. বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

আম দুধের সরবত

উপকরণঃ
  1. মাঝারি সাইজের কাঁচা আম – ২টি
  2. সোডা বাই কার্বনেট – এক টিপ
  3. চিনি দিয়ে ফোটানো  দুধ – দেড় কাপ   
প্রণালীঃ
  1. দুধটা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন।
  2. খোসা ছাড়িয়ে আম খুব সরু করে কুচিয়ে মন্ড না হওয়া পর্যন্ত  সিদ্ধ করুন।
  3. মন্ডটা ছাঁকনিতে ছেঁকে নিয়ে খুব ভালো করে সোডা মেশান।
  4. এবার মিশ্রণটা বরফ ঠান্ডা দুধে  মিশিয়ে দিন। লম্বা গ্লাসে ঢেলে বরফের কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

তেঁতুলের সরবত

উপকরণঃ
  1. পাকা তেতুল এক কাপের চারভাগের এক ভাগ,
  2. ঠান্ডা পানি ৩ কাপ,
  3. আখের গুড় ১ কাপ।
প্রণালীঃ
  1. আধা কাপ পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে মোটা চারনিতে ছেনে নিন।
  2. দেড় কাপ পানিতে গুড় গুলে মিহি কাপড় দিয়ে ছাকুন।
  3. গুড় ও তেঁতুল এক সঙ্গে মেশান।
  4. বাকি পানি দিয়ে মিশিয়ে পরিবেশন করুন